বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্রপতির সংলাপ: কী ভাবছে বাম দলগুলো

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২৩:১৬

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে ডাকা হয়েছে জাসদ, বাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টিকে। সংলাপের ব্যাপারে দলগুলোর অবস্থান জানতে চাওয়া হয় নিউজবাংলার পক্ষ থেকে।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির আলোচনা। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেল ৪টায় সংলাপে ডাকা হয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদকে।

নির্বাচন কমিশন গঠনে দলটির কী প্রস্তাব থাকবে জানতে চাওয়া হয় এটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ুমের কাছে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন না থাকা অবস্থায় মন্দের ভালো হিসেবে রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য দ্রুততার সঙ্গে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। এটাই আমদের মূল কথা।’

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারসহ দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাত সদস্য এ সংলাপে অংশ নেবেন বলে জানান কাইয়ুম।

২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সংলাপে ডাকা হয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদকে। তবে সেই সংলাপে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি।

এ নিয়ে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির এই আমন্ত্রণ জানানোটাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তার সদিচ্ছাকে আমরা গুরুত্ব দেই, কিন্তু আমাদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। গত দুটো সার্চ কমিটি গঠনে মতামতের প্রতিফলন ছিল না। আলোচনা দুটোর ফলাফল কিন্তু ভালো হয়নি। আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতির সদিচ্ছাকে ধন্যবাদ জানাই, কিন্তু এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি আমরা যাব কিনা।’

তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা দলের মধ্যে আলোচনা করছি, সাথে সাথে আমাদের জোটের (বাম গণতান্ত্রিক জোট) সঙ্গেও আলোচনা করছি।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল সব সময় সংবিধানের কথা বলে, সংবিধানের বাইরে একচুল পা ফেলবে না বলে। ৫০ বছর পার হয়ে গেল, তারা নিজেরা গত ১২ বছরের বেশি একটানা ক্ষমতায়, তবু সংবিধানের নির্দেশনা মেনে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন তারা এখনও প্রণয়ন করেনি। ফলে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সদিচ্ছাপ্রসূত যে তৎপরতা, এটার আইনি কাঠামোতে তার বাধ্যবাধকতা থাকে না বলে এটা অনেক সময় অনুগত নির্বাচন কমিশন বলেই অনেকের কাছে প্রতিভাত হয়।

‘বিশেষ করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনমনে এই জিনিসটা প্রচণ্ডভাবে ধাক্কা দিয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন গঠিত হচ্ছে কিন্তু সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবার জন্য যেমন তাদের সদিচ্ছা ছিল না, তেমনি তাদের প্রতিষ্ঠান শত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা সেই ভূমিকাটা পালন করেনি। তাতে মনে হয়েছে, নির্বাচন কমিশন আসলে চায় না তার সক্ষমতা প্রদর্শন করতে।’

তিনি বলেন, ‘২৬ তারিখের আগে আমরা আর একটু ভালো করে ভাবব, যাব কি যাব না। যদি আমরা না যাই, তাহলে আমরা প্রকাশ্য জানিয়ে দিব। রাষ্ট্রপতির কাছেও আমরা একটা চিঠি লিখে জানাব আমরা কেন গেলাম না। অথবা না গেলেও আমাদের যে প্রস্তাব সেটা আপনাদের (মিডিয়া) মাধ্যমে জানিয়ে দিব।’

আগামী ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সংলাপে ডাকা হয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিকে।

নির্বাচন কমিশন গঠনে ওয়ার্কার্স পার্টির ভাবনা ও প্রস্তাব নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল দলটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের কাছে।

এ নিয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবার যে প্রস্তাব থাকছে, আমাদেরও সেটাই থাকবে। নির্বাচন কমিশন আইন সংবিধানগতভাবে হওয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি এবং সেই আইনটাই করা প্রয়োজন ছিল অতীতে। এখনও করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। তারপরও যখন সার্চ কমিটি করছে, তখন সার্চ কমিটির সঙ্গে আমরা সহযোগিতা করব, কিন্তু আমাদের যেটা বক্তব্য, এর ফলে বিতর্কগুলো থেকেই যায়, আইন না থাকার কারণে।’

প্রস্তাবগুলো নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার কথা উল্লেখ তিনি বলেন, ‘আমাদের গতবার যেগুলো ছিল, সেগুলোই প্র্যাকটিক্যালি, নতুন করে বলা আর কী। এরপরও আমরা বসব, বসে ঠিক করব।’

দলটির পলিটব্যুরোর সাত সদস্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাবেন বলে জানান মেনন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সংলাপের ভিত্তিতে গঠিত হবে নতুন কমিশন।

এ বিভাগের আরো খবর