বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছোটদের ঋণ সহজ ও দ্রুত করবে ফিনটেক

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৫০

শাহাদাত খান বলেন, ‘বাংলাদেশে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট এখন সবার হাতের নাগালে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে। এতে তৈরি হয়েছে বিশাল এক তথ্যভাণ্ডার। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে ফিনটেক এর মাধ্যমে সবাইকে ঋণের আওতায় আনা সম্ভব।’

ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়ার জন্য যে ধরণের তথ্য থাকা দরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তা থাকে না। সে কারণে তাদের ছোট উদ্যোক্তা খুঁজে বের করতে সমস্যা হয়; ঋণ দিতে পারে না। উদ্যোক্তারাও ঋণ থেকে বঞ্চিত হন।

‘ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ডিজিটাল প্রোফাইল’ তৈরির মাধ্যমে সহজেই দ্রুততর সময়ের মধ্যে এই উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। কোভিড-উত্তর বাংলাদেশে ফিনটেক আরও বেশি জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে।

সোমবার বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় অলোচকরা এই মতামত দিয়েছেন।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিআইসিএমের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদা আক্তার। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টালিখাতা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত খান। ফিনটেক হচ্ছে, ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি’র সংক্ষিপ্ত রূপ। সনাতন ফিন্যান্সিয়াল সেবগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুবিধাজনকভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হলো ফিনটেক।

মূলপ্রবন্ধে শাহাদাত খান বলেন, ‘ঋণ প্রদানের জন্য ছোট বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের যে ধরণের তথ্য দরকার তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পায় না। ফলে তাদের ঋণ দিতে পারে না। এই উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে এখন সহজেই তাদের ঋণ দেওয়া সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট এখন সবার হাতের নাগালে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে। এতে তৈরি হয়েছে এক বিশাল এক তথ্যভাণ্ডার। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে ফিনটেক এর মাধ্যমে সবাইকে ঋণের আওতায় আনা সম্ভব। ঋণের পরিমাণও নির্ধারণ করা যাবে। গ্রহীতার কাছে না গিয়েও ঋণের টাকা পাঠানো ও কিস্তির টাকা আদায় করা যাবে। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা খরচ ও ঝুঁকি কমবে।’

বিআইসিএমের নির্বাহী সভাপতি মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘দেশের প্রান্তিক অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে কমিউনিটিভিত্তিক অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে ছোট উদ্যেক্তারা। এরা সহজে ঋণ পেলে অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবেন।’

মাইক্রো ফাইন্যান্স ইন্সটিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক এম এ বাকী খলিলী বলেন ‘ছোট ব্যবসায়ীদের লোন দরকার হয় ব্যবসা শুরু করার জন্য নয়; ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য। তবে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার সমস্যাটি প্রায় স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত রয়েই গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ছোট উদ্যোক্তাদের অবদানকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ঝুঁকি নিরুপন মডেল তৈরি করে উচ্চ ঝুঁকি আলাদা করা ও লেনদেন খরচ কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হক বলেন ‘ফিনটেক, ব্যাংক, এমএফআই, উদ্যোক্তা-সবাই মিলে ইকো-সিস্টেম তৈরি করতে হবে। কম খরচে সেবা প্রদানের জন্য ফিনটেক’ই হবে অন্যতম প্লাটফর্ম।”

আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিআইসিএমের পরিচালক (স্টাডিজ) ওয়াজিদ হাসান শাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণ বড়ুয়া, ইনিস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের রিসার্চ ফেলো ফারহানা নার্গিস, ব্যাংক এশিয়ার এমএসএমই ও কৃষিঋণ বিভাগের প্রধান সামিনুর রহমান, এসিআই’র ট্রেজারি প্রধান আবু হাসান জামান এবং আমেরিকার লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহিম সিরাজ।

এ বিভাগের আরো খবর