হাতি এবং মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ নিতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘হাতি এবং মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ নিন। বনাঞ্চলে অবৈধভাবে বসবাসকারীরা কীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে? তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হোক।’
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হাতি-সংরক্ষণ এবং হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মঙ্গলবার বিকেলে এসব বলেন মন্ত্রী।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘হাতি সাধারণত যেসব রাস্তায় চলাচল করে সেই রাস্তাগুলো ও করিডোর পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। পুনঃবনায়নও হচ্ছে। কলাগাছসহ অন্যান্য তৃণজাতীয় উদ্ভিদ যেগুলো হাতি খাবার হিসেবে গ্রহণ করে সেগুলোর চাষাবাদ করতে হবে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই। এই প্রাণীগুলোকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘হাতি হত্যা বরদাস্ত করব না। যেকোনো মূল্যে এসব বন্ধ করতে হবে। হাতিসহ সব বন্য প্রাণী নিধন বন্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে।
‘হাতিসহ কয়েকটি বন্য প্রাণীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আমরা ইতোমধ্যে আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছি। বাঘ কিংবা হাতি, কোনো বন্য প্রাণীর যেন অপঘাতে মৃত্যু না হয়, আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। সরকার এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
এ সময় হাতির আক্রমণে নিহত একজনের পরিবারকে তিন লাখ এবং ফসলের ক্ষতির জন্য দুই পরিবারকে ৪৫ হাজার টাকা করে ৯০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রী।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।