পঞ্জিকার নিয়ম ধরে ১৪২৮ বঙ্গাব্দের পৌষের ষষ্ঠ দিন আজ মঙ্গলবার। দেশের কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীত জেঁকে বসেছে। তবে বুধবার থেকেই তাপমাত্রা বাড়বে। সে সুবাদে বিদায় নিচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলাসহ সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলমান মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ সহসাই বিদায় নিচ্ছে। এ বছর আর শৈত্যপ্রবাহ আসছে না। নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ আসছে জানুয়ারিতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাংলাদেশের সাধারণ তাপমাত্রার হিসাব অনুযায়ী বড় কোন এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
সে হিসাবে দেশের দশ জেলায় এই মুহূর্তে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। জেলাগুলো হলো- গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, বরিশাল, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বছর আর শৈত্যপ্রবাহ আসার আশঙ্কা নেই। তবে জানুয়ারি মাসে দেশব্যাপী শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।
‘বর্তমানে দেশের কোথাও কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আগামীকাল বুধবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা পড়বে। সে ক্ষেত্রে দেশের যেসব এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে তা না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান। উত্তর সুমাত্রা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন মালাক্কা প্রণালীতে অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলাসহ সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
দেশের পঞ্চগড়, যশোর, কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গাসহ আরো কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।