ঢাকার ধামরাইয়ে রাতে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে নদীর মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে।
শুধু তাই নয়, এসব মাটি ট্রাকে করে জমির উপর দিয়ে বহন করায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। প্রতিবাদ করায় এক কৃষককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগও ওঠেছে মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে মঙ্গলবার উপজেলা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর আগে সোমবার রাতে কাওয়াখোলা গ্রামের গাজীখালী নদীর পশ্চিম তীর থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন করে জানায় স্থানীয়রা। পরে ধামরাই থানা পুলিশ গেলে মাটি ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীরা জানায়, অনেকদিন ধরেই রাতে গোপনে গাজীখালী নদীর মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে কিছু ব্যক্তি। তাদের দাবি, স্থানীয় আমির হোসেন আমু ও জহিরুল হকসহ কয়েকজন এই কাজ করছেন। মাটি কেটে তা ফসলি জমির উপর দিয়ে নিয়ে যায়। এতে নষ্ট হচ্ছে চাষ করা ফসল।
কৃষক আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার জমিতে খেসারি ডাল ও গম করেছি। কিছু লোকজন রাতের আঁধারে গাজীখালী নদীর মাটি কেটে বিক্রি করছে। আমার জমির ওপর দিয়ে মাটি পরিবহন করায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে বাঁধা দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় মাটি ব্যবসায়ীরা।
‘মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। উনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
অভিযোগের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জহিরুল হক মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার রাতে ৯৯৯-এ ফোন করে অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটার খবর জানান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়।’
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন হাই মোহাম্মদ জকী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি জেনে ব্যবস্থা নিব।’