বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বইপড়া উৎসবে হাজারও শিক্ষার্থী

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৫০

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘বিজয়ে সুবর্ণ আঙিনায় দাঁড়িয়ে দেশকে সত্যিকার অর্থে ‘বিশ্বের বিস্ময়’-এ পরিণত করতে বই নির্ভর সমাজের বিকল্প নেই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে বইপড়ুয়ারা।’’

সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে বইপড়া উৎসব।

হাজারও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মঙ্গলবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে ও বইপড়ায় আগ্রহী করে তুলতে ২০০৬ সাল থেকে উৎসবের আয়োজন করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইনোভেটর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজয়ে সুবর্ণ আঙিনায় দাঁড়িয়ে দেশকে সত্যিকার অর্থে ‘বিশ্বের বিস্ময়’-এ পরিণত করতে বই নির্ভর সমাজের বিকল্প নেই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে বইপড়ুয়ারা।’’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ের প্রধান সমস্যা ধর্মীয় উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার প্রভৃতি থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন মননশীলতার বিকাশ। ইনোভেটর তরুণদের হাতে বই তুলে দিয়ে, সেই সৃজনশীল ও মননশীল সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ, আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদব কেউট ও সামচান চাষা।

ইনোভেটরের মুখ্য সঞ্চালক, সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির নির্বাহী সঞ্চালক প্রণবকান্তি দেব।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঈশিতা ঘোষ চৌধুরী ও সৈয়দা আছিয়া খাতুন।আরও পড়ুন: তারা বই পড়ান, ইতিহাস জানান

জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুষ্ঠানস্থলে দুপুর ২টা থেকে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পর উৎসবে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের হাতে এ বছরের নির্বাচিত গ্রন্থ, স্কুল শাখায় মুনতাসীর মামুনের উপন্যাস ‘জয়বাংলা’ এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় শওকত আলীর উপন্যাস ‘যাত্রা’ তুলে দেয়া হয়।

আয়োজকরা জানান, এবারের আসরে মোট ৯৯১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। তার মধ্যে স্কুল ও সমমানের মাদ্রাসা পর্যায়ের ৫৩৫ জন এবং কলেজ, স্নাতক ও সমমান মাদ্রাসার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী আছেন। সিলেট মহানগর ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও শিক্ষার্থীরা এ বছর বইপড়া উৎসবে যোগ দিয়েছেন।

‘জ্ঞানের আলোয় অবাক সূর্যোদয়!/ এসো পাঠ করি/ বিকৃতির তমসা থেকে/ আবিষ্কার করি স্বাধীনতার ইতিহাস’ এই স্লোগানে হচ্ছে উৎসব। গেল দুই আসর থেকে এ উৎসবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে জেলা পরিষদ, সিলেট।

এ বিভাগের আরো খবর