আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তথ্য পেতে গত সাড়ে তিন দশকে প্রায় ১৫ কোটি ডলারের পুরস্কার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া ‘রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস’ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১০০ জন তথ্যদাতাকে এই পুরস্কার দিয়েছে দেশটি।
রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস প্রকল্পের ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি এই প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাসহ নানা জঙ্গি হামলায় দণ্ডিত চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দিতে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট। একই সঙ্গে অভিজিৎ রায়ের হত্যায় জড়িত এই ব্যক্তিরা বাংলাদেশে আছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
রিওয়ার্ড ফর জাস্টিসের (আরএফজে) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত তথ্য দেয়ার জন্য পরিশোধ করা সর্বোচ্চ অর্থের পরিমাণ ৩ কোটি ডলার। সাবেক ইরাকি স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের দুই পুত্র উদে ও কুশে হোসেনের তথ্যদাতাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ নেতাদের তথ্য পেতে কয়েক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল আরএফজে। এর ফলে ওই নেতাদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছিল বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত বা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের তথ্য পেতে পুরস্কার ঘোষণা করে আরএফজে। এই প্রকল্পের তালিকায় আল-কায়েদাসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতাদের নাম রয়েছে।
এর আগে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা লাদেনের তথ্য পেতে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে আল-কায়েদার সদস্য বা অন্য কেউই লাদেনের তথ্য দেয়নি। পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে নিহত হন লাদেন।
ওসামা বিন লাদেনের ছোট ছেলে হামজা বিন লাদেনকে ধরতে ১০ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হামজার নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।