বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষা কর্মকর্তাকে ‘চড়’: এবার মেয়র পদ হারালেন শাহনেওয়াজ

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:১২

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্জিত করার অভিযোগে এবার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারজানা মান্নানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে মেয়রের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, শাহনেওয়াজ শাহানশাহর আচরণ শিষ্ঠাচারবহির্ভূত ও অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের শামিল, যা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয়। জনস্বার্থের পরিপন্থি বলে সরকার মনে করে। তাই পৌরসভা আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড় মারার অভিযোগে সোমবার আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয় শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

যা হয়েছিল বিজয়ের অনুষ্ঠানে

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ নিউজবাংলাকে জানান, সকাল পৌনে ৭টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছিলেন তিনি। উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী তিনি একে একে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ডাকছিলেন।

মেহের জানান, তালিকার এক নম্বরে ছিল উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার মেয়রকে ডাকা হয়।

মেয়র শাহানশাহ শ্রদ্ধা জানানো শেষে তাকে বলেন, ‘আমি ৫ নম্বরে কেন? আমি তো ১ নম্বরে যামু’। মেহেরের অভিযোগ, এ কথা বলেই মেয়র তাকে চড় মেরে দ্রুত শহীদ মিনার এলাকা ছাড়েন।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ​কামরুন্নাহার শেফা বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থাপনা করার সময় আমি শহীদ মিনারের বেদিতে ছিলাম। নাম ঘোষণার সিরিয়াল নিয়ে মেয়র তাকে লাঞ্ছিত করেছেন।’

শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র জানান, ওই কর্মকর্তা সাবেক শিবির ও বিএনপির নেতা ছিলেন। তার ছোট ভাই এখন জামালপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং পূর্বপরিকল্পিত।

এ বিভাগের আরো খবর