বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে অনুষ্ঠান নয়

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:৪৭

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবছর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বড়দিন, ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। সে সঙ্গে খ্রিষ্টীয় বর্ষের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর রাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষেও বিভিন্ন স্থানে আনন্দ-উৎসবের আয়োজন করা হয়। অতিমারি কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে পালিত হচ্ছে।’

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনে থার্টি ফার্স্ট নাইটে প্রকাশ্যে সভা, সমাবেশ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন না করতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সম্প্রতি এ নির্দেশ জারি করে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-মহাসচিবকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এতে বলা হয়েছে, ‘খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন এবং খ্রিষ্টীয় বর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর রাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।’

‘প্রতি বছর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বড়দিন, ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। সে সঙ্গে খ্রিষ্টীয় বর্ষের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর রাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষেও বিভিন্ন স্থানে আনন্দ-উৎসবের আয়োজন করা হয়। অতিমারি কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে পালিত হচ্ছে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত সীমিতভাবে পালিত হয়েছে। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন এবং খ্রিষ্টীয় বর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।

‘এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারী অব্যাহত রাখাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।’

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের সকল অনুষ্ঠান সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজন নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় চিঠিতে।

এ বিভাগের আরো খবর