পাবনার ঈশ্বরদীতে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়েছেন ওই নারীর স্বামী।
এ ঘটনায় সুমন আলী নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। ৩০ বছর বয়সী সুমনের বাড়ি উপজেলার সরাইকান্দি গ্রামে।
উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনশিদপুর গ্রামে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর নাম শারমিন শিলা। ৩২ বছরের শারমিন গ্রামের রানাউর রহমানের স্ত্রী।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘তিনতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন শারমিন-রানাউর দম্পতি। সকালে শারমিন ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পাশের ঘরে তার স্বামী ঘুমাচ্ছিলেন। আর তার শ্বশুর-শাশুড়ি হাঁটতে বের হন।
বাড়ির প্রধান দরজা খোলা ছিল। এ সময় অভিযুক্ত সুমন বাড়িতে ঢুকে শারমিনকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে রানাউর স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করেন হামলাকারী।
এ সময় দুইজনের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে হামলাকারী সুমনকে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন রানাউর। পরে এলাকাবাসী তাকে আহত অবস্থায় আটক করে ও পুলিশে খবর দেয়। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান গৃহবধূ শারমিন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমনকে আটক ও গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।
আহত রানাউর রহমানকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এবং সুমনকে পুলিশি পাহাড়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তারপরও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’