বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:০২

তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাচ্ছেন।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন পর্যন্ত ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ডের পর তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায়।

মৃদু বাতাসের সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

মেহেরপুর

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সোমবারের চেয়ে ২.৬ ডিগ্রি বেশি।

তবে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাচ্ছেন।

গুড় ব‍্যবসায়ী নজিমুদ্দীন নিউজবাংলাকে জানান, সোমবার থেকেই সারা দিন বাতাস বইছে, হাত-পা খুব টানছে, যন্ত্রণাদায়ক শীত পড়েছে।

চাল ব‍্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘দুই দিন ধরে এমন শীত পড়ছে যে মোটা কাপড় পরেও শীত কমছে না। আল্লাহ জানে, সামনে কী হবে।’

চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানান, গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকায় ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করলে সোমবার তা কমে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে দাঁড়িয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নেয়। কিন্তু মঙ্গলবার তাপমাত্রা বেড়েছে বেশ খানিকটা।

তবে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।

সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করেছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সকাল ৮টার পর সূর্যের দেখা মিললেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

তীব্র শীতে কাজ কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় নিম্ন আয়ের মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা

ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। তীব্র শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫৫ জন সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০ জন। এদের সবাই শিশু। যাদের বয়স ৬ মাস থেকে দেড় বছর।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘শীতজনিত রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় শিশুদের ঠান্ডা ও বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না। কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর