অসাধু কোনো সিন্ডিকেট যেন পুঁজিবাজারকে কারসাজির মাধ্যমে প্রভাবিত না করতে পারে, সেদিকে বিশেষ নজরদারীসহ ছয়টি বিষয় তত্ত্বাবধান করতে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
১৩ ডিসেম্বর বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবায়াত-উল-ইসলামের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
২৬ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘শেয়ারবাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা’ শিরোনামে প্রতিবেদনের পরিপেক্ষিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব গোলাম মোস্তফার সই করা চিঠিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য ছয়টি বিষয়ের ওপর আরও গুরুত্বারোপের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো-
>> অবৈধ বা নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনো কোম্পানি, স্টেকহোল্ডার বা প্রতিষ্ঠান যেন পুঁজিবাজারে প্রবেশ বা বের হতে না পারে সে দিকে নজরদারি করতে হবে।
>> যে সব কোম্পানি, স্টেকহোল্ডার বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে, তাদের পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেনের ওপর নজরদারি রাখতে হবে।
>> সন্দেহজনক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
>> অসাধু কোনো সিন্ডিকেট যেন পুঁজিবাজারকে কারসাজির মাধ্যমে প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
>> পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করতে হবে।
>> সচেতনতা বাড়ােনার জন্য পুঁজিবাজারসংক্রান্ত ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি কার্যক্রম আরও জোরদারএবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পুঁজিবাজার বিষয়ে ধারণা তুলে ধরতে হবে।
‘শেয়ারবাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে আবারও বড় ধরনের অস্থিরতা চলছে। কিছু শেয়ারের দাম নজিরবিহীন উত্থানের পর এবার চলছে টানা দরপতন। গত ১০ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ৪৮২ পয়েন্ট কমেছে। আর বাজারমূলধন কমেছে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
সেই দরপতনের ধারা এখনও চলছে পুঁজিবাজারে। সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৭ পয়েন্টের মতো। রোববার কমেছিল ৮৫ পয়েন্ট।
লেনদেন নেমে এসেছে হাজার কোটি টাকার নিচে। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০৭ কোটি টাকা। রোববার লেনদেন হয়েছিল ৭৮৬ কোটি টাকা।