বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে মন্দিরসহ ৪ ভবন

  •    
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ ২৩:৪৩

হেলে পড়া চার তলা ভবনের মালিক রিপন দাশ বলেন, ‘গত বছর খাল খনন শুরুর পরই আমার ভবন কিছুটা হেলে পড়েছিল। ওই সময় অভিযোগও দেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি পুনরায় কাজ শুরুর পর দুপুরে ভবন হেলে পড়তে শুরু করে।’

চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকায় হেলে পড়েছে চারটি স্থাপনা। কর্ণফুলি নদীর শাখা গুলজার খালে খনন কাজ শুরুর পর ভবনগুলো হেলে পড়েছে বলে জানা গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি বহুতল ভবন ও দুটি মন্দির।

বন্দর নগরীর সদরঘাট থানার পার্বতী পুকুর পাড় এলাকায় সোমবার দুপুর ১টার দিকে প্রথমে একটি ভবন হেলে পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে ওই এলাকার মাটি দেবে গিয়ে আরও তিনটি স্থাপনা হেলে পড়ে। ঝুঁকিতে রয়েছে খালপাড়ের আরও একাধিক ভবন।

ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।

হেলে পড়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি দ্বিতল ও একটি চার তলা ভবন। এ ছাড়া ওই এলাকার লোকনাথ মন্দির ও জগন্নাথ মন্দির ভবনও হেলে পড়েছে। ভবনগুলোর স্থানে স্থানে দেখা দিয়েছে ছোট-বড় ফাটল।

স্থানীয়রা জানান, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খালটি খনন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গত বছর খনন শুরুর কিছুদিন পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

ওই বছরের মার্চেও খালপাড়ের একটি ভবন হেলে পড়েছিল। পরে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। তখনও সংশ্লিষ্ট খালপাড়ের ভবন মালিকরা কর্তৃপক্ষের কাছে খনন কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন।

এ বছর কিছুদিন আগে ফের কাজ শুরু করে সিডিএ। রোববার রাতেও কাজ চলেছে ওই এলাকায়। এরপর সোমবার দুপুরে মাটি দেবে গিয়ে হেলে পড়তে শুরু করে স্থাপনাগুলো।

পাশাপাশি প্রায় লেগে থাকা ভবন দুটির একটি হেলে পড়ে তৈরি হয়েছে দুই ফুটের মতো দূরত্ব

সোমবার রাত ১২টায় সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হেলে পড়া আবাসিক ভবনগুলো থেকে ইতোমধ্যে সরে গেছেন কিছু বাসিন্দা। তবে অনেকেই তাৎক্ষণিক ভবন ছাড়তে রাজি হননি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিধসে একাধিক ভবন ধসে পড়তে পারে।

ওই এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ ১টার দিকে প্রথম চার তলা ভবনটি হেলে পড়ে। ভবনের মালিক নিজেও ওই ভবনে থাকতেন। তারা অন্যত্র সরে গেছেন।’

হেলে পড়া চার তলা ভবনের মালিক রিপন দাশ জানান, গত বছর খাল খনন শুরুর পরই তার ভবন কিছুটা হেলে পড়েছিল। ওই সময় অভিযোগও দেন তিনি। তবে কর্তৃপক্ষ তখন কোনো সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি পুনরায় কাজ শুরুর হয়েছে। এর প্রভাবেই সোমবার দুপুরে তার ভবন হেলে পড়তে শুরু করে।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ বলছে রাতেই তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে। কিন্তু তারা এখন কোথায় যাবেন!

হেলে পড়া ভবন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

স্থানীয় ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এটি অনেক পুরনো খাল। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় এটিতে খনন কাজ করছে সিডিএ। হেলে পড়া ভবনগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা।

তিনি সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা এনামুল হক নিউজবাংলাকে জানান, রাত ১১টার দিকে খবর পাওয়ার পরপরই তারা সেখানে যান। তারা ভবনগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন ।

এ বিভাগের আরো খবর