ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার সমর্থন না করায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ভোলা সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মানিক বাঘার বাড়িতে বোমা হামলা, ভাঙচুর ও টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৫ জানুয়ারি ভোলা সদর উপজেলাধীন পশ্চিম ইলিশা ইউপি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উক্ত নির্বাচনে আমি যেন নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করি এবং প্রচার-প্রচারণায় নামি, তার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির আমাকে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
‘আমি তার আদেশ-নির্দেশ না মানায় গত রোববার রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরের নেতৃত্বে তার ক্যাডার জাহাঙ্গীর, জিন্নাহ ও আব্দুর রহমানসহ কমপক্ষে তিন শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার পশ্চিম ইলিশার বাড়িতে বোমা হামলা করতে থাকে।
‘ক্যাডাররা আমার দুই স্কুল পড়ুয়া নাতি ফাহিম এবং তাহিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। বাড়ির কাজের রড সিমেন্ট ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার জন্য রাখা সাড়ে ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী ও ছেলেকেও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। ঘটনার পর পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘অস্ত্রধারীরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই পুরো পশ্চিম ইলিশায় বোমা ফাটিয়ে সশস্ত্র মহড়া চালাচ্ছে। জহিরের নির্দেশ না মানলে মানুষের উপর হামলা আর জুলুম-নির্যাতন চালানো। ব্যবসায়ীদের দোকান তালা মেরে ব্যবসার কাজ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিজেপি নেতা বলেন, ‘ভোলা পুলিশ সুপারকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আস্বস্ত করেছেন।’
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে প্রতিপক্ষের সাজানো কথাগুলো তিনি পেশ করেছেন। এ ধরনের ঘটনা এই ইউনিয়নে ঘটেনি এবং আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
আর ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’