চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে চার শিক্ষার্থী বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেল জয় করেছেন।
সোমবার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তারা।
বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়া চারজনের মধ্যে একজন চবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের ৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষের মো. আজাদ। অন্য তিনজন হলেন-চবি স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সালাহ উদ্দিন, একই বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ শফিউল হাসান (সফিউল্লাহ) ও পালি বিভাগের ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের উজ্জ্বল মারমা।
সাঁতারু দলের সঙ্গে থাকা স্পোর্টস সায়েন্সের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মিঠু নিউজবাংলাকে জানান, সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে চবির চার শিক্ষার্থী শাহপরীর দ্বীপ থেকে সাঁতার শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে সালাহ উদ্দিন ৩টা ৩৮ মিনিটে, উজ্জ্বল মারমা ৪টা ১০ মিনিটে, মো. আজাদ ৪টা ২০ মিনিটে এবং শফিউল হাসান ৪টা ৩২ মিনিটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে পৌঁছান।
অনুভূতি জানিয়ে শফিউল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, সকালে নাস্তার পর টেকনাফে যাওয়ার পথে বমি হওয়ায় শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। সাগরে অনেক ঢেউ ছিল। তারপরও চেষ্টা করেছি। অনেক কষ্ট করে এতদূর এসেছি। তাই হাল ছাড়িনি। এর মধ্যে একবার দিক হারিয়ে ফেলায় আবার উল্টো পথে সাঁতার কাটতে হয়েছে। তারপরও শেষ পযর্ন্ত চেষ্টা করেছি। চবি থেকে আমরা চারজন একসঙ্গে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে পেরেছি-এই অনুভূতি খুব ভালো লাগছে।
‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ আয়োজিত ‘ফরচুন বাংলা চ্যানেল-২০২১’ এর ১৬তম আসরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ৮০ জন সাঁতারু অংশ নেন। বেলা ২টা ৩০ মিনিটে সাইফুল ইসলাম রাসেল সর্বপ্রথম সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পৌঁছান। এরপর সুজা মোল্লা, আবু নাইম ও আরিফুর রহমান দ্বীপের বালি স্পর্শ করেন।