বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা, ঘোষণা আ.লীগ নেতার

  •    
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:০৮

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, আগামী নির্বাচন দিতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমি ফখরুল ইসলাম সাহেবকে বলি, দিবাস্বপ্ন দেখা ভালো, কিন্তু ওই স্বপ্ন কোনো কাজে লাগে না।’

বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের যে দাবি করছে, সেটি নাচক করলেন আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানও থাকবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সেই নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘বাংলার মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা মনে-প্রাণে এটিই বিশ্বাস করি।’

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে প্রথম বর্ষের ১০০ শিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে এসব সাইকেল বিতরণ করা হয়। ডাকসুর সাবেক স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী কর্মসূচির তত্ত্বাবধান করেন। এতে সহযোগিতা করেছে নাভানা গ্রুপ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

আবদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সংবিধান আছে। সংবিধানের ভেতর থেকে আগামী দিনে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে এবং সে (নির্বাচনকালীন) সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন। তার অধীনেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হবে।

‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, আগামী নির্বাচন দিতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমি ফখরুল ইসলাম সাহেবকে বলি, দিবাস্বপ্ন দেখা ভালো, কিন্তু ওই স্বপ্ন কোনো কাজে লাগে না।’

১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলেও ২০১১ সালে সর্বোচ্চ আদালত এই সরকারকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।

এর পরের দুটি জাতীয় নির্বাচন হয় দলীয় সরকারের অধীনে। নির্বাচন পরিচালনার আগে মাস তিনেক আগে মন্ত্রিসভায় বদল আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি প্রতিহতের ডাক দেয় বিএনপি। তবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অধীনেই আসে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে না হলে তাতে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলীয় সরকারের অধীনে হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণাও এসেছে।

তবে বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘সে নির্বাচনে আপনাদেরও আসতে হবে। আর যদি না আসেন তাহলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ওই বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গে খড়কুটোর মতো বিএনপি নামক সংগঠন ভেসে যাবে।’

ডাকসুর সাবেক স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, নাভানা গ্রপের সিইও ওয়াহেদ আজিজুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর