করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতি মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটসহ দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে দুজন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে। এখন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক রবিউল ইসলামের সাক্ষ্য অসমাপ্ত রয়েছে।
আদালত ২৭ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরের তারিখ নির্ধারণ করেছে।
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ নিয়ে মামলাটিতে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
মামলায় বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে।
এ অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। গত বছরের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
এর আগে ১৮ অক্টোবর করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরও দুজন সাক্ষ্য দেন।
তারা হলেন জেকেজিতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করানো মো. জাকারিয়া ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার।
ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।