ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের দিন হওয়ায় সোমবার সকাল থেকেই সরগরম ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে মুখর ছিল পরিবেশ।
তার মধ্যেই আলাদা করে নজর কাড়েন দুজন। তারা বসেছিলেন কাগজে ছাপা রঙিন সব প্রতীক নিয়ে। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা প্রতীক বরাদ্দের পরই ওই দুই বিক্রেতার কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
প্রয়োজন অনুযায়ী প্রার্থীরা তাদের কাছ থেকে কিনে নেন বরাদ্দ পাওয়া প্রতীকের ছবি থাকা লেমিনেটিং করা রঙিন কার্ড, রঙিন ফিতা লাগানো গলায় ঝোলানোর ব্যাজ ও বুকে লাগানোর ব্যাজ।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলে এই কেনাবেচা। দিন শেষে প্রায় অর্ধ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেন দুজন।
ভৈরব পৌর এলাকা থেকে নির্বাচনি প্রতীক বিক্রি করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসেছিল স্কুলছাত্র রিয়াজ। পড়াশোনার ফাঁকে বাড়তি উপার্জনের জন্য মৌসুমি এ ব্যবসা শুরু করেছে সে।
রিয়াজ জানায়, ইউপি নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জেলা ঘুরে ঘুরে এসব পণ্য বিক্রি করছে সে। প্রতীক বরাদ্দের দিন সে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন প্রতীকের ছবির কার্ড ব্যাজের পসরা সাজিয়ে বসে।
এক-একটি উপজেলায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার নির্বাচনি পণ্য বিক্রি হয়। তার কাছে থাকা ব্যাজগুলোর দাম ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
আরেক বিক্রেতা নান্টু মিয়া নির্বাচনি এ পণ্য বিক্রি করছিলেন ভৈরবের একটি ছাপাখানার অধীনে।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ দেয়া প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে নতুন উত্তেজনা থাকে। খুশি হয়েই তারা পছন্দের প্রতীকের নানা পণ্য কেনেন।
নির্বাচনে তালা প্রতীক পাওয়া এক প্রার্থীর সমর্থক আব্দুর রহিম বলেন, ‘তারা এসব পণ্য বিক্রি করায় আমাদের জন্য সহজ হয়। প্রতীকের ব্যাজ বানানো একটা ঝামেলার বিষয়। তারা নির্বাচনি বিভিন্ন স্থানে পসরা সাজিয়ে বসেন, এতে প্রয়োজন হলেই পাওয়া যায়।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, এই সব ব্যাজ ব্যবহারে সমস্যা নেই। তবে নির্বাচনে রঙিন পোস্টার ও লিফলেট জাতীয় কোনো কিছুর মাধ্যমে প্রচার চালানো আচরণবিধির লঙ্ঘন। এমন বিষয় নজরে এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।