চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটির উজানে এক নম্বর জেটির পাশে নির্মিত হয়েছে নতুন একটি সার্ভিস জেটি।
এটি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব পাইলট জাহাজসহ বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস জাহাজ ভিড়বে। সেই সঙ্গে সার্ভিস জাহাজের কর্মকর্তারা সহজেই জেটি দিয়ে জাহাজে উঠতে পারবেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এত দিন সার্ভিস জেটি না থাকায় কর্মকর্তাদের গুপ্তা এলাকায় গাড়ি নিয়ে গিয়ে জাহাজে উঠতে হতো। আবার কখনও ১৫ নম্বর ঘাটে গিয়ে জাহাজে উঠে বহির্নোঙরে যেতে হতো।
এখন শহরের প্রধান সড়কের সঙ্গে লাগোয়া সার্ভিস জেটি চালু হওয়ায় কম সময়ে জেটিতে গিয়ে জাহাজে ওঠা যাবে। এতে সময় কমবে, ভোগান্তি কমবে। বন্দরসেবায় এটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করেন ক্যাপ্টেন ফরিদুল।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৮৩ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে এই জেটি নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতনু-ওহাব-এ বারিক (জেভি) ২২০ মিটার লম্বা ও ২০ মিটার চওড়া সার্ভিস জেটিটি বানায়।
এটিতে অনায়াসে ২২০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়তে পারবে।
জেটির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৫০ বর্গফুটের তিনতলা একটি অফিস ভবন, তিন হাজার বর্গফুটের স্টিল কাঠামোর একটি ওয়্যারহাউস, ২ হাজার ১০০ ঘন মিটারের একটি পানির রিজার্ভার, ২২২ মিটার লম্বা ৮ ফুট উঁচু রিটেইনিং ওয়াল, রিভার ব্যাংক ও শোর প্রোটেকশন, ড্রেনেজ সিস্টেম, ৫০০ কেভির বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন এবং ১০০ ফুট উঁচু সিগন্যাল টাওয়ার।
চট্টগ্রাম বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সরকার জানান, ১৩ নম্বর জেটি এলাকায় ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের সার্ভিস জেটি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সেটি ২০০৮ সালে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এরপর ২০১৮ সালে নতুন সার্ভিস জেটি নির্মাণের জন্য ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্যাদেশ দেয় বন্দর। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হয় এই সার্ভিস জেটির।