বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়া হলো না ১০ বছরের শিশু সৈয়দা লারিসা রোজানের।সাঁতার শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর বোটে উঠে যেতে হয়েছে তাকে। মাঝপথে থেমে যেতে হয়েছে আরও চার প্রতিযোগীকে। বাকিরা বিকেলে চারটার পর চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন পৌঁছান।
শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেন লারিসাসহ ৮০ জন।১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার জলপথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন সাঁতারুরা।পানিতে ডুবে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে এ সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।আয়োজকরা জানান, স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চারকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি এই চ্যানেলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে ১৩ বছর ধরে এই আয়োজন করা হচ্ছে।
২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথম বাংলা চ্যানেলের নামে সামনে আসে। বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার প্রয়াত কাজী হামিদুল হকের তত্ত্বাবধানে ওই বছর প্রথমবারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ ২০০৬ সালে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন।ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও অফরোড বাংলাদেশ আয়োজনে ট্যুরিজম বোর্ড, পর্যটন করপোরেশন ও কোস্ট গার্ডের সহায়তায় এডিবল অৱয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ‘ফরচুন’ এ সাঁতার প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করছে।