টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে বিবাহিতরা থাকতে পারবে না- এমন সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
এক নোটিশ দিয়ে সোমবার বিকেলে বলা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর যে নোটিশ দেয়া হয়েছিল, সেটির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
আলেমা খাতুন ভাসানী হলের প্রভোস্ট রোকসানা হক রিমি বলেন, ‘ছাত্রীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করে বর্তমানে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।’
গত ১১ ডিসেম্বর আলেমা খাতুন ভাসানী হলের নোটিশ বোর্ডে বিবাহিত ছাত্রীদের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘হলের নিয়ম অনুযায়ী বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ নেই।...উল্লেখ্য, কোনো ছাত্রী বিবাহিতা হলে কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে অবহিত করবে। অন্যথায় নিয়মভঙ্গের কারণে জরিমানাসহ তার সিট বাতিল করা হবে।’
এই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়, ছাত্রীরাও প্রতিবাদ জানান।
নোটিশের বিষয়ে সে সময় হলের প্রভোস্ট রোকসানা হক রিমি জানান, হল প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই বিবাহিতদের বিষয়ে এমন নিয়ম আছে। হলে এখন ৩০০-এর বেশি ছাত্রী থাকছে, যা আমাদের ধারণক্ষমতার বাইরে। তাই বিবাহিতদের হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিবাহিত হওয়ায় এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে এক শিক্ষার্থীর সিট কেটে দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে কুয়েত মৈত্রী হলের সিট কমিটির সদস্য এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ইলা ইসমাইল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের যে রকম নির্দেশনা দিয়েছে, সেভাবেই আমরা হলটি চালাই।’
এ রকম নিয়ম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই নিয়ম আমরা বানাইনি। এটি প্রশাসন থেকে আসা এমন একটি নিয়ম, যেটি অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। আমরা শুধু সেটি অনুসরণ করি।’