আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সোমবার সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় ফখরুল বলেন, ‘বিজয়ের ৫০ বছর পরে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হচ্ছে। সেই পরাজয়টা কীসের? একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের স্বপ্ন ছিল মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার। স্বপ্ন ছিল সব মানুষের জন্য সমান অধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার।
‘দুর্ভাগ্যক্রমে ৫০ বছর পরে সেই পরাজয়ের গ্লানি বহন করতে হচ্ছে। আমরা মুক্ত সমাজ, গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করতে পারিনি। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। তিনি সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার আহ্বানের পর দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সেই স্বপ্নই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে পটপরিবর্তনের পর আবার তিনি আমাদের স্বপ্ন দেখান।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অন্যায়-বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এর অর্থই হচ্ছে, আওয়ামী লীগ আজ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। কারণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা।
‘তিনি ১৯৭১ সালে দুই শিশুপুত্র নিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি ক্যান্টনমেন্ট কারাগারে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দি ছিলেন। সেই নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।