লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে।
তাকে তুলে নিয়ে পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
মারধর করা হয়েছে তার ছেলে ও এক কর্মীকেও।
তবে নৌকার প্রার্থী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে পুলিশ ও নির্বাচনসংশ্লিষ্টরা।
আহত ওই প্রার্থীর নাম সালাউদ্দিন মানিক। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ওসি জানান, সোমবার বেলা ৩টার দিকে আহমদ মিয়া বাজারের নুরখা এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন সালাউদ্দিন মানিক। এ সময় নৌকার প্রার্থীর ছেলে জুয়েল হোসেন, তার ভাতিজা রাসেল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন গণসংযোগে বাধা দেন।
একপর্যায়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দিন, তার ছেলে ফেরদৌস হাসান মাহিসহ তিনজনকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেন তারা। পরে নলডগী এলাকায় তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ভেঙে দেয়া হয় সালাউদ্দিনের পা।
পুলিশ নলডগী এলাকা থেকে সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সালাউদ্দিন মানিক এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর আগে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এর আগেও নৌকার প্রার্থী নুরুল আমিন ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগে বাধাসহ হুমকি-ধমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন সালাউদ্দিন মানিক।
তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী নুরুলের নির্দেশে তার ছেলে জুয়েলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সোমবার বিকেলে তাকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে ও পা ভেঙে দেয়। এ সময় তার ছেলেসহ দুজনকে মারধর করা হয়।’
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নৌকার প্রার্থীর বিচার দাবি করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মানিক।
তবে অভিযুক্ত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন বলেন, তাদের মারধর করা হয়নি। নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করতে এ নাটক সাজিয়েছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, সালাউদ্দিন মানিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার স্বপন কুমার ভৌমিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দিন মানিক আহত হওয়ার খবর শুনেছি।’