নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এই ভোট সামনে রেখে দলের যৌথ সভা চলাকালে ভিডিও কল দিয়ে তিনি এই নির্দেশ দেন।
সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথ সভাটি চলছিল। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা এতে অংশ নেন।
সভা চলাকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের মুঠোফোনে কল করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি সভায় উপস্থিত নেতাদের দেখতে চান। নানক মোবাইল ঘুরিয়ে নেতাদের দেখান।
এ সময় নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জেতাতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রার্থী অনেকেই ছিলেন। একজনকে যেহেতু মনোনয়ন দিতে হবে, তাই আমি আইভীকে দিয়েছি। আইভী নৌকার প্রার্থী। সবাই নৌকার বিজয়ে কাজ করবেন এটাই আমি চাই।’
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এই নির্বাচন বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলেও ২০১২ সালে দলের প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনের মাঠে আছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয়ে তিনি ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পাশে পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের।
এ বিষয়টি উল্লেখ করে নানক দলের নেতাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। বলেছেন, ভোটের মাঠে এক হয়েই লড়তে হবে প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে দেখলাম একজন নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবি করছেন। আসলে তিনি বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।
‘ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের একটি কমিটি করে দিয়েছেন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবে, এই কমিটি তাদের সহায়তা করবে।’
অনেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাকে নির্বাচিত করাই আমাদের একমাত্র দলীয় আদর্শ ও লক্ষ্য।
‘মনে রাখতে হবে, আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে। আমরা নিজেদের সমালোচনা করলে সেটি কিন্তু পাবলিকলি আলোচনায় আসতে পারবে না। দল দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে অদায়িত্বশীল কথাবার্তা পছন্দ করে না।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সায়েম খান, সদস্য মারুফা আক্তার পপি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।