বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষা কর্মকর্তাকে ‘চড়’: আ.লীগ থেকে বহিষ্কার মেয়র

  •    
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:০১

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী জানান, মেয়র শাহনেওয়াজ শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এটি দলের জন্য বিব্রতকর। দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড় মারার অভিযোগ ওঠায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে। এই অভিযোগে হওয়া মামলার আসামি তিনি।

মেয়র শাহনেওয়াজ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সোমবার দুপুরে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী জানান, মেয়র শাহনেওয়াজ শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এটি দলের জন্য বিব্রতকর। দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

যা হয়েছিল বিজয়ের অনুষ্ঠানে

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ নিউজবাংলাকে জানান, সকাল পৌনে ৭টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছিলেন তিনি। উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী তিনি একে একে সংশ্লিষ্টদের ডাকছিলেন।

মেহের জানান, তালিকার এক নম্বরে ছিল উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার মেয়রকে ডাকা হয়।

মেয়র শাহানশাহ্‌ শ্রদ্ধা জানানো শেষে তাকে বলেন, ‘আমি ৫ নম্বরে কেন? আমি তো ১ নম্বরে যামু’। মেহেরের অভিযোগ, এ কথা বলেই মেয়র তাকে চড় মেরে দ্রুত শহীদ মিনার এলাকা ছাড়েন।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ​কামরুন্নাহার শেফা বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থাপনা করার সময় আমি শহীদ মিনারের বেদিতে ছিলাম। নাম ঘোষণার সিরিয়াল নিয়ে মেয়র তাকে লাঞ্ছিত করেছেন।’

শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র জানান, ওই কর্মকর্তা সাবেক শিবির ও বিএনপির নেতা ছিলেন। তার ছোট ভাই এখন জামালপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং পূর্বপরিকল্পিত।

এ বিভাগের আরো খবর