প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার এমন সব কর্মসূচি ও নীতি হাতে নিয়েছে, যাতে তরুণরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, পাশাপাশি নিজেরাও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে সোমবার বিকেলে জয়বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া ভার্চুয়াল বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের তরুণদের মেধা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেন শেখ হাসিনা। তাই প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের সঙ্গে সমান তালে চলতে তরুণ সমাজকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান রেখেছেন তিনি। বলেছেন, প্রযুক্তির সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে আমি বলব, তরুণদের যে মেধা, জ্ঞান, তা বিকশিত করার জন্য এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে, সেইভাবে তাদের কাজ করতে হবে। তরুণদের মেধা, জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমরা আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
গত ১২ বছরে বাংলাদেশের যে অর্জন, তা হুট করে হয়নি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের নীতি ও কর্মসূচির দ্বারাই এটা সম্ভব হয়েছে। সেখানে আমরা সব সময় চেয়েছি, আমাদের তরুণ সমাজ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজের কাজ নিজে করবে এবং আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। সেভাবেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু এখানে থেমে থাকলে হবে না। ২০৭১ সালে আমরা স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব। এখন আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি, তখন আমি বেঁচে থাকব না। আজকের তরুণ বা এর পরবর্তী সময়ে যারা আসবে, তারাই তো থাকবে। তারাই তো চলবে, তারাই তো এগিয়ে যাবে।’
বর্তমানকে সামনে নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের বর্তমান উৎসর্গ করেছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।’
প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একই ধারায় পৃথিবী চলে না, সমাজ চলে না। বিশ্ব বিজ্ঞানের যুগ, প্রযুক্তির যুগ। প্রতিনিয়ত এই ক্ষেত্রে বিবর্তন হচ্ছে, প্রতিনিয়ত এই ক্ষেত্রে বিবর্তন আসছে। উন্নত প্রযুক্তি আসছে। সেই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’
প্রযুক্তির সঙ্গে পা ফেলে এগিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি এই পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলতে না পারি, তাহলে কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাব। আর সেই পরিবর্তনটা সব সময় যুবসমাজরা আনে, আনতে পারে। জ্ঞান-মেধাই কিন্তু তাদের সেই সুযোগটা দেয়।’
যুবসমাজকে দেশের মূল শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকে তরুণরা নিজেদের প্রস্তুত করবে আগামী দিনের জন্য, যাতে এই দেশকে তারা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে। একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা অর্জন এর পেছনে তরুণের শক্তি, উদ্যোগ, উদ্দাম কাজ করেছে।’