নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রীতি অনুযায়ী প্রথম দল হিসেবে বঙ্গভবনে গেছে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।
সংলাপের জন্য সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নিউজবাংলাকে বলেন, সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানতম দাবি হবে ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের ভিত্তিতেই গঠিত হবে নতুন কমিশন।
দলের পক্ষ থেকে কী দাবি থাকবে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব নিউজবাংলাকে রোববার বলেন, ‘আমরা কী দাবি করব, এগুলো এখনও নির্ধারণ করিনি, তবে আমরা নির্বাচন কমিশন আইন চাই। এ দাবি আমরা অবশ্যই করব। বাকি দাবিগুলো আমরা যাওয়ার আগে আলোচনা করে ঠিক করব।’
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো আইন তৈরি হয়নি দেশে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাদের নাম প্রস্তাব করবেন জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘এগুলো এখনও ঠিক করিনি। আর নাম তো রাষ্ট্রপতি আমাদের কাছে চাননি। নাম চাইবে সার্চ কমিটি।…এটা এখনই বলা মুশকিল। আমরা নাম নির্ধারণ করেই সংলাপে যাব। দরকার হলে নাম আমরা পরেও পাঠাতে পারি।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এ সংলাপের মধ্য দিয়ে যে নতুন কমিশন গঠিত হবে, তার অধীনেই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
সংলাপ প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও সংলাপের না যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে।
বুধবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে আমন্ত্রণ পেয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। পরের রোববার বিকেল ৪টায় সংলাপের জন্য বঙ্গভবনে যাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও সন্ধ্যা ৬টায় যাবে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।