মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আলেমা খাতুন ভাসানী হলের বিবাহিত ছাত্রীদের দাবি, বিবাহিত হলেও তাদের যেন হলে থাকার সুযোগ দেয়া হয়। আর প্রভোস্ট বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়।
গত ১১ ডিসেম্বর আলেমা খাতুন ভাসানী হলের নোটিশ বোর্ডে বিবাহিত ছাত্রীদের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘হলের নিয়ম অনুযায়ী বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ নেই।...উল্লেখ্য, কোনো ছাত্রী বিবাহিতা হলে কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে অবহিত করবে। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে জরিমানাসহ তার সিট বাতিল করা হবে।’
জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এত দিন কেন জানানো হলো না? যারা বিবাহিত তারা কোথায় যাবে? কেউ হলে অনিয়মিতভাবে থাকলে তাকে বের করে দিতে পারে। যারা নিয়মিত তাদের কেন বের করে দেয়া হবে?’
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল এটি। ২০০৫ সালে এই হল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ছাত্রীদের জন্য এখানে ২৪৮টি সিট আছে।
নোটিশের বিষয়ে হলের প্রভোস্ট রোকসানা হক রিমি জানান, হল প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই বিবাহিতদের বিষয়ে এমন নিয়ম আছে। হলে এখন ৩০০-এর বেশি ছাত্রী থাকছে, যা আমাদের ধারণক্ষমতার বাইরে। তাই বিবাহিতদের হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের পাঁচটি হলে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই বলে জানান প্রভোস্ট।
এর আগে ১২ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে বিবাহিত হওয়ায় এক শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করা হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে উপাচার্য আখতারুজ্জামানের কাছে এই নিয়ম বাতিলের আবেদন জানানো হয়।