বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সাঁতার শুরু করেছে ১০ বছরের এক শিশু, যার নাম সৈয়দা লারিসা রোজান।
বলা হচ্ছে, এই ইভেন্টে লারিসার আগে কেউ এত কম বয়সে অংশ নেয়নি।
লারিসার সঙ্গে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিনের (বাংলা চ্যানেল) উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেছেন এক বিদেশিসহ আরও ৭৯ জন।
শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেন প্রতিযোগীরা।
সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার জলপথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবেন সাঁতারুরা।
পানিতে ডুবে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে এ সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
আয়োজকরা জানান, স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চারকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি এই চ্যানেলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে ১৩ বছর ধরে এই আয়োজন করা হচ্ছে।
ইভেন্টে অংশ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লারিসা বলে, ‘একটু ভয় ভয় করছে। তবে আমি পারব।’
বিদেশি নাগরিক সিক্স ফিন্ডার জানান, ‘আমি এই প্রতিযোগিতায় এর আগে দুবার অংশ নিয়েছি। জনসচেতনতা তৈরিতেই মূলত আমি অংশ নিয়ে থাকি।’
২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথম বাংলা চ্যানেলের নামে সামনে আসে। বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার প্রয়াত কাজী হামিদুল হকের তত্ত্বাবধানে ওই বছর প্রথমবারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ ২০০৬ সালে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন।
সাঁতারু সিক্স ফিন্ডার ছাড়াও প্রতিযোগীদের মধ্যে আছেন ৬৯ বছরের মোহাম্মদ শোয়াইব এবং পার্বত্য এলাকার উক্যচিং মার্মা উজ্জ্বল।
ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও অফরোড বাংলাদেশ আয়োজনে ট্যুরিজম বোর্ড, পর্যটন করপোরেশন ও কোস্ট গার্ডের সহায়তায় এডিবল অৱয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ‘ফরচুন’ এ সাঁতার প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করছে।