রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আগুনের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন।
হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মানসিক বিভাগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আগুন লাগায় রোগী ও স্বজনরা তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে আহত হন।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষণে ওই ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, নথি, বই, চেয়ার টেবিল, এসি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওয়ার্ডের সামনে বারান্দায় স্তুপ করে রাখা ম্যাট্রেক্স, চেয়ার, টেবিল ও বেড থেকে আগুন ছড়িয়েছে বলে জানান রোগীর স্বজনরা।
তবে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডে কীভাবে আগুন লাগলো সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে ভর্তি মো. মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘স্বামীকে খাওয়াচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি জানলার পাশে আগুন জ্বলতেছে। তখন চিৎকার করে বের হয়া গেছি। পরে সবাই দৌড়া-দৌড়ি করি বের হইচি। যারা হাটপের পায় না তাদেক অনেকে তুলি নিয়ে নিচে নামচে।’
আগুনে পুড়ে গেছে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র,নথি ও আসবাবপত্র। ছবি: নিউজবাংলা
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগুনেরে সূত্রপাত কীভাবে হলো তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে জানা যাবে।’
হাসপাতালের শিক্ষানবীশ নার্স খলিলুর রহমান জানান, পোড়া গন্ধ আসছিল। আগুনে কালো ধোয়ার মধ্যে অনেকে হেটে যেতে পারছিলেন না। ওয়ার্ডের রোগীদের নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড ইনচার্জ শামীমা পারভীন বলেন, ‘যখন হঠাৎ ধোয়া দেখলাম, তখন মনে হলো আগুন লাগছে। সবাইকে সতর্ক করি, অনেক রোগীকে নিরাপদে নামানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
হাসপাতালের পরিচালক পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, ‘কিভাবে আগুন লাগলো সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ওয়ার্ড পরিষ্কার শেষে রোগীদের ফের নেয়া হবে ওয়ার্ডে।’