পটুয়াখালীর গলাচিপায় চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহতের অভিযোগ উঠেছে।
গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহের বিরুদ্ধে গালাগালির অভিযোগ এনে বেলা ৩টার দিকে ঝাড়ু মিছিল করে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ানা মার্জিয়া নিতু। এ ঘটনায় দলীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন শাহিন শাহ। এ সময় গলাচিপা পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন ও তার বোন ওয়ানা মার্জিয়া নিতু সেখানে গেলে চেয়ারম্যানের লোকদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার।
আহতদের মধ্যে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী হোরায়রাকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার আগে সংবাদ সম্মেলনে শাহিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মিছিল হয়েছে তার কোনো সত্যতা থাকলে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা তার বিচার করবেন। আমি কাউকে অশালীন কোনো কথা বলিনি। সে সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকরাও উপস্থিত ছিলেন।’
হামলার পর তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অফিসে কোনো আওয়ামী লীগ কর্মী হামলা করতে পারে না। তারা আওয়ামী লীগ করলে এ কাজ করতে পারত না। তারা আসলে বিএনপি-জামায়াত করে বলেই এভাবে হামলা চালিয়েছে।’
পৌর মেয়রের দাবি, উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন শেষে তার মা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুন্নাহার ও বোন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতু আওয়ামী লীগের অফিসে যান। সেখানে চেয়ারম্যান তাদের ঢুকতে না দিলে তিনি লোকজন নিয়ে যান। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সন্তোষ কুমার দে বলেন, ‘এই ঘটনা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।