বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের (শেবাচিম) আরটি-পিসিআর ল্যাব মেশিন বিকল হয়ে পড়েছে। এর আগে ৮ ডিসেম্বর মেশিনটি লো-ভোল্টেজের কারণে অকেজো হয়ে পড়ার পরে ১২ দিনেও সেটি চালু হয়নি।
শেবাচিমের পিসিআর ল্যাবের প্রধান ডা. এ কে এম আকবর কবির জানান, পিসিআর মেশিনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওভারসিস মার্কেটিং কোম্পানিকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, মেশিনটির ওয়ারেন্টির সময় এক বছর পার হওয়ায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মৌখিক নয়, লিখিতভাবে চিঠি পেলেই আসবে। ওয়ারেন্টির পরে সার্ভিস দিলে তার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
পিসিআর মেশিনটি এভাবে অকেজো হয়ে পড়ে থাকলে অন্যান্য যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
তারা জানিয়েছেন, এর আগে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের একাধিক মেশিনে সামান্য ত্রুটি দেখা দিলেও সেটি তাৎক্ষণিক মেরামত না হওয়ায় আর সচল করা যায়নি।
গত বছরের ৮ এপ্রিল দক্ষিণাঞ্চলের সর্বপ্রথম আরটি পিসিআর ল্যাব চালু হয় বরিশাল শেবাচিমে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বিভাগে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ নুমনা সংগ্রহ হলেও দৈনিক গড়ে ২০০ নমুনা পরীক্ষা করা হতো এই ল্যাবে।
ওই সময় বাকি নমুনা ঢাকায় পাঠানো হলেও তার রিপোর্ট পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
গত আগস্টে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি পিসিআর মেশিন সরবরাহ করা হয় এই ল্যাবে। ওই মেশিনে দৈনিক গড়ে প্রায় ৭০০ নমুনা পরীক্ষা করা যেত। তবে পাওয়ার সাপ্লাইসহ আনুষঙ্গিক কিছু যন্ত্রপাতির অভাবে সেটি আর চালু করা হয়নি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘পিসিআর ল্যাবে ত্রুটির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং ফোনেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে প্রাপ্ত করোনার স্যাম্পল ভোলার ল্যাবে প্রেরণ করে রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে। এতে কোনো জটিলতা হচ্ছে না।’
তিনি জানান, দিনে সরবরাহ করা প্রায় ১০০ স্যাম্পল পাঠানো হচ্ছে ভোলার ল্যাবে।
এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বাড়ছে উপসর্গ ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
রোববার সকালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া করোনা শনাক্ত একজন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।