ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওলিউল্লাহ সরকার সোহেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম তামান্না ফারাহর আদালতে রোববার মামলাটি করেন এক কলেজছাত্রী।
মামলায় আসামি করা হয়েছে এএসআই ওলিউল্লাহ ছাড়াও তার স্ত্রী রোকেয়া রুনা ও শ্যালক হাফিজুর রহমান মেহেদীকে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান মামলার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে দিয়েছে। পিবিআইকে ২৬ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’
মামলায় বলা হয়েছে, এএসআই ওলিউল্লাহর স্ত্রী রোকেয়ার সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে কলেজছাত্রী গত বছর ২৫ জানুয়ারি থেকে তাদের বাসায় সাবলেট থাকছিলেন। রোকেয়ার ভাই হাফিজুর রহমান মেহেদী সেখানে বেড়াতে আসলে ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়।
গত ২১ মার্চ একটি হলফনামা তৈরি করে হাফিজুর দাবি করেন, ৬ লাখ টাকার কাবিননামাতে তাদের বিয়ে হয়েছে। এরপর বাসাটিতে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। হাফিজুর তার কর্মস্থল ময়মনসিংহ শহরে স্ত্রীকে কয়েক দফা নিয়ে গেছেন। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে হাফিজুর, তার বোন ও ভগ্নিপতি কয়েক দফায় দেড় লাখ টাকা নেন বাদীর কাছে থেকে।
ভিকটিম গর্ভবতী হলে গত ৩০ অক্টোবর আসামিরা জোর করে ওষুধের মাধ্যমে তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করেন। গত ৬ নভেম্বর হাফিজুর জানান তাদের বিয়ের বিষয়টি ছিল মিথ্যা। তার আগের স্ত্রী-সন্তান আছে। শারীরিক সম্পর্কের জন্য মিথ্যা হলফনামা করেছেন বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে হাফিজুরের বোন রোকেয়া ও ভগ্নিপতি ওলিউল্লাহর সঙ্গে কথা বললে তারা একই ধরনের জবাব দেন। এরপর তারা বাদীকে সাবলেট বাসা থেকে বের করে দেন। এ অবস্থায় কলেজছাত্রী আদালতে মামলা করেন।
মামলায় বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে হাফিজুরের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ধর্ষণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে এএসআই ওলিউল্লাহ এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে।