যশোর শহরের শংকরপুরে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ২৫ বছরের সাব্বিরের বাড়ি শংকরপুর এলাকায়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা সাব্বিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
নিহতের ভাই রাব্বি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুসা নামে এক ছেলের সঙ্গে সাব্বিরের দ্বন্দ্ব ছিল। সে-ই চাকু মেরে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।’
তিনি জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে সাব্বির তার মায়ের চায়ের দোকানে কাজ করছিলেন। ওই সময় দোকানে গিয়ে সুইট নামে এক যুবক তাকে ডেকে নিয়ে যান। সাব্বিরকে একা পেয়ে মুসা একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যান।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। সাব্বিরের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হত্যার অভিযোগ ওঠা মুসা শংকরপুর নুরনবীর বস্তি এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত পৌর নির্বাচনে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী তৎকালীন কাউন্সিলর গোলাম মোস্তাফার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সাব্বির। সেই কারণে এ হামলা হতে পারে।
গত ২২ জুলাই রাতে শাওন ওরফে টুনি শাওন হত্যার জেরেও এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন। তারা জানান, শাওনের সঙ্গে সাব্বিরের শত্রুতা ছিল। শাওন হত্যার পর এলাকা থেকে ঢাকায় চলে যান সাব্বির। ৩-৪ দিন আগে বাড়িতে আসেন তিনি।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে চা দোকানি সাব্বিরকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হত্যার কারণ উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাব্বির স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাংয়ের একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।