বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সার্জেন্ট মহুয়ার মামলায় নজর রাখছে ডিবি

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৭

ডিবির প্রধান হাফিজ আক্তার বলেন, ‘সার্জেন্ট মহুয়া আমাদেরই একজন সদস্য। আমরা তার পাশে আছি। যেহেতু মামলা হয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মে আইনের ভিত্তিতে যেটা হওয়ার, সেটা হবে।’

গাড়িচাপায় বাবার মারাত্মক জখম হওয়ার ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের করা মামলাটির বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

তিনি জানিয়েছেন, মামলাটির তদন্তের দায়িত্বভার রয়েছে বনানী থানাতেই।

ডিবির প্রধান হাফিজ আক্তার রোববার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কার দোষ ছিল, তা তদন্তে বের হয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে রোববার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ বলেন, ‘পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের করা মামলার বিষয়টি আমিও জানি। গুলশান বিভাগের বনানী থানায় যে মামলা হয়েছে. তার তদন্ত চলছে। গাড়িচাপায় মহুয়ার বাবার পা হারানোর ঘটনায় কার দোষ রয়েছে, তা তদন্তে বের হয়ে আসবে। তখন ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মামলায় আসামির নাম নথিভুক্ত না করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এজাহারে নাম না দেয়ার কারণ যাচাই করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কী ঘটেছে, তা জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কার দোষ সেটি খুঁজে বের করা হচ্ছে।

‘সার্জেন্ট মহুয়া আমাদেরই একজন সদস্য। আমরা তার পাশে আছি। যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই অন্য সাধারণ মানুষের মামলায় যেভাবে তদন্ত হয়, বিচারের ব্যবস্থা হয়, আমরা সেভাবেই কাজ করব। স্বাভাবিক নিয়মে আইনের ভিত্তিতে যেটা হওয়ার, সেটা হবে।’

রাজধানীর বনানীতে ২ ডিসেম্বর রাতে গাড়িচাপায় মারাত্মক জখম হন বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা।

যে গাড়িটিকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছে, তা চালাচ্ছিলেন একজন বিচারপতির ছেলে সাঈদ হাসান।

মনোরঞ্জন হাজং আহত হওয়ার ঘটনায় তার মেয়ে সার্জেন্ট মহুয়া বনানী থানায় মামলা করতে গেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে নেয়া হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হলে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মামলাটি নেয় পুলিশ।

সড়ক পরিবহন আইনের এই মামলায় গাড়ির চালকসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করা হয়।

অন্যদিকে মামলার দুই দিন আগেই নেয়া হয় অভিযুক্ত গাড়িচালকের জিডি। সেখানে বিচারপতির ছেলে সাঈদ হাসান দুর্ঘটনার জন্য উল্টো দায়ী করেছেন মনোরঞ্জন হাজংকে।

দুর্ঘটনায় আহত মনোরঞ্জন হাজংয়ের ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। বাম পাও ক্ষতিগ্রস্ত। তাকে প্রথমে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হলেও পরে বারডেমে স্থানান্তর করা হয়। তিনি সেখানে আইসিইউতে আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর