বিদেশে চিকিৎসকসহ মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের চাকরি ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পড়তে যাওয়ার পথ সুগম করতে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০২১’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
রোববার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা এ-সংক্রান্ত যত সংস্থা রয়েছে তাদের একটি সিদ্ধান্ত আছে, ২০২৩ সালের মধ্যে সব দেশকে একটি অ্যাক্রেডিটেশনের মধ্যে আসতে হবে।
‘এর মধ্যে যদি না আসে, তাহলে সে দেশের কোনো ডাক্তার বা টেকনিক্যাল হেলথ পারসন অন্য দেশে স্বীকৃত হবেন না বা তাদের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশে গিয়ে শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘কোভিডের জন্য এই সময়টি ২০২৩ থেকে ২০২৪ করা হয়েছে। এ জন্য অবশ্যই প্রত্যেক দেশকে বিশ্বে যদি মেডিক্যাল পেশা বা উচ্চশিক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে হয়, তাহলে একটি অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের আওতায় তাকে স্বীকৃতি গ্রহণ করতে হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই আইন আনা হয়েছে।
‘এই আইনে একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল থাকবে। সেই কাউন্সিলই অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়গুলো দেখভাল করবে, নীতিমালা প্রণয়ন করবে। এই কাউন্সিল হবে ১৯ সদস্যের। এর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের অ্যাক্রেডিটেশনের মানদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মূল বিষয় হলো অ্যাক্রেডিটেশন হতে হবে এবং এর একটি ন্যূনতম মানদণ্ড থাকতে হবে। ন্যূনতম মানদণ্ড না থাকলে উন্নত দেশে আমাদের ডাক্তার বা হেলথ স্টাফরা চাকরি করতে যেতে পারবেন না। এখান থেকে এমবিবিএস করলে তিনি বাইরে পড়াশোনা করতেও যেতে পারবেন না।’
নতুন এ আইনে পরবর্তী সময়ে বিধি দিয়ে অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।