মাদারীপুরের রাজৈরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল মোল্লাকে কুপিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে রাজৈর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন করেছে তার পরিবার।
উপজেলার শিল্পকলা একাডেমির সামনে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও রোববার থানায় মামলার আবেদনের পর বিষয়টি জানাজানি হয়। আহত রবিউল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
তার পরিবারের বরাত দিয়ে রাজৈর থানা পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পৌরসভার কাউন্সিলর বাহাউদ্দিন মোল্লাকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলেন রবিউল। শিল্পকলা একাডেমির সামনে একদল লোক রবিউলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। পালিয়ে যান বাহাউদ্দিন।
রবিউলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘রবিউলের মাথায় নয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছি।’
হাসপাতালে কথা হয় রবিউলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক কোন্দলে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি শাজাহান খানের লোক বলে রাজনৈতিকভাবে হামলা করা হয়েছে। আমার প্রতিপক্ষ হামলা করেছে বলে আমার বিশ্বাস। আপাতত তাদের নাম বলছি না, মামলা হলে তাদের বিষয়টি জানানো হবে।’
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাহাবুদ্দিন সাহা বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজৈর উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই এখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
‘গত শনিবার বিকেলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রবিউলের হামলার পেছনে সেই ঘটনাই দায়ী মনে করছি। কেন তার ওপর হামলা হলো, তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সাদিক বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে রাজৈরে উত্তেজনা চলছে। শনিবার বিকাল থেকেই থেমে থেমে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। কে বা কারা রবিউলের ওপর হামলা করেছে জানি না। তারা আইনগত ব্যবস্থা চাইলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। এর বেশি কিছু বলছি না।’