বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, দাবি ফখরুলের

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৩২

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ভারাক্রান্ত মনে বিজয় শোভাযাত্রা করছি, যখন একাত্তরের প্রথম মহিলা মুক্তিযোদ্ধা, দেশের সাবেক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘শিশু মুক্তিযোদ্ধা’ বলে সমালোচনায় পড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবার চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেছেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের বিজয় র‌্যালি উদ্বোধনের পর দেয়া বক্তব্যে তিনি এমন দাবি করেন।

‘আমরা ভারাক্রান্ত মনে বিজয় শোভাযাত্রা করছি, যখন একাত্তরের প্রথম মহিলা মুক্তিযোদ্ধা, দেশের সাবেক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন’, বলেন ফখরুল।

‘একাত্তরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। এরা (আওয়ামী লীগ) আমাদের ভোটাধিকার ও বলার-লেখার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে’, যোগ করেন তিনি।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম, তার লক্ষ্য ছিল একটি নিরাপদ রাষ্ট্র পাব; আমরা কথা বলার অধিকার পাব, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার পাব, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার একটি বাকশালী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এ দেশের জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতায় চেপে বসে আছে।’

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তারেক রহমানকে ‘শিশু মুক্তিযোদ্ধা’ দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

ওই দিন তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন।

‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি শিশু মুক্তিযোদ্ধা। তিনিও তখন মায়ের সঙ্গে কারাগারে ছিলেন।’

রোববারের বিজয় র‌্যালিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশ রক্ষার জন্য বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে সূচনা হয়েছিল, সে সবই ধ্বংস করেছে এই সরকার। এই র‌্যালি দেশের মানুষের নতুনভাবে জেগে ওঠার র‌্যালি।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার আমাদের সব অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পক্ষে। এ দেশের মানুষ তারেক রহমানকে দেশে দেখতে চায়। এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, এ দেশের মানুষ স্বৈরতন্ত্র চায় না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের মানুষ কথা বলতে চায়। তাদের স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়। গণতন্ত্র রক্ষায় এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দিয়েও সংগ্রাম করব এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় অর্জন করব। আমাদের বিজয় যাত্রা শুরু হলো। এটাকে আমরা স্বৈরাচার হাসিনার পতনের দিকে নিয়ে যাব।’

র‌্যালি শুরু হওয়ার আগে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বিএনপি কার্যালয় থেকে এক দিকে নাইটিঙ্গেল মোড়, অন্যদিকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। নেতা-কর্মীরা 'স্বাধীনতার অপর নাম, জিয়াউর রহমান', 'স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সলাম', ‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগান দেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ টুকু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর