বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পুরোপুরি সুস্থ। চাইলে যেকোনো সময় হাসপাতাল ছাড়তে পারেন।
কাদেরের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক শেষে রোববার দুপুরে এসব তথ্য জানায় তার চিকিৎসায় বিএসএমএমইউর গঠিত ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।
বোর্ডের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে। এই মুহূর্তে তার আর কোনো শারীরিক জটিলতা নেই। তিনি চাইলে যেকোনো সময় বাসায় ফিরে যেতে পারবেন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কখন বাসায় ফিরবেন, জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর বক্ষব্যাধি বিভাগের এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি তার ইচ্ছেমতো যেতে পারেন, কিংবা তার দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। আমাদের দিক থেকে আমরা তাকে বাসায় ফেরার অনুমতি দিয়েছি।’
এর আগে বেলা ১১টার দিকে অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সুস্থ আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ওনার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে; রিপোর্ট ভালো এসেছে।
‘তিনি রুটিনমাফিক খাওয়া-দাওয়া করছেন; হাসপাতালের কেবিনের মধ্যে একটু চলাফেরা করছেন। বুকে ব্যথা, কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস অনেকটাই নরমাল। ঠান্ডাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা ভালো।’
ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিলে গত মঙ্গলবার সকালে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করানো হয় ওবায়দুল কাদেরকে। হাসপাতালের ৩১২ নম্বর ভিআইপি কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিএসএমএমইউতে ভর্তি হয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। তাকে দেখতে হাসাপাতালে ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের চিকিৎসায় দেশের বাইরে থেকে আনা হয় চিকিৎসক দল। কাদেরের চিকিৎসা করেন ভারতের নামকরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি।
পরদিন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রায় আড়াই মাসের দীর্ঘ চিকিৎসার পর ২০১৯ সালের ৬ মে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা।
ধীরে ধীরে রাজনীতির মাঠে তাকে আগের মতোই সক্রিয় হয়ে ওঠেন কাদের। করোনাভাইরাস মহামারির স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে লোক সমাগম এড়িয়ে চললেও গণমাধ্যমে নিয়মিত দল এবং সরকারের হয়ে কথা বলেন। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আসার পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাষ্ট্রীয় ও দলীয় কর্মসূচিতেও সশরীরে উপস্থিতি বাড়ান কাদের।