আইনি কাঠামো পাচ্ছে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা।
সচিবালয়ে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২১-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘১৯৮৩ সালের একটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করা হচ্ছে। এতে ৫০টি ধারা আছে। আইনে একটি আয়ুর্বেদিক বোর্ড থাকার কথা বলা হয়েছে। এই বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যেকোনো স্থানে শাখা করা যাবে।
‘এতে একজন চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার থাকবে। বছর শেষে বোর্ড সার্বিক প্রতিবেদন সরকারকে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি কাউন্সিল থাকবে মেডিক্যাল কাউন্সিলের মতো। তারা একাডেমিক বিষয়গুলো দেখবে। কাউন্সিল তারাই নির্বাচন করবে। তারা না পারলে সরকার নির্বাচন করে দেবে। কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হবে ৩ বছরের জন্য। কাউন্সিলই সভাপতি নির্বাচন করবে।’
এই কাউন্সিলে ১৬ ক্যাটাগরির সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে ৩ জন সংসদ সদস্য (যাদের স্পিকার মনোনয়ন দেবেন) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রয়েছেন।
সচিব জানান, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা নামের আগে ‘ডাক্তার’ ব্যবহার করতে পারবে কি না, সেটা কাউন্সিল নির্ধারণ করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এতে কিছু সাজার বিধানও রাখা হয়েছে। যেমন: মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড, অনুমোদন ব্যতীত ওষুধ দিলেও এক বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড এবং ডিগ্রি অনুকরণ করলে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।’