বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো বিজিবি দিবস। দিবস উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর পিলখানায় শহীদ বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে হয় মার্চপাস্ট ও কুচকাওয়াজ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে তিনি বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে খোলা জিপে করে মার্চপাস্টের সালাম গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি প্যারেড পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন।
এ সময় বিজিবি সদস্যদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন সরকারপ্রধান। পরে পিলখানায় নবনির্মিত সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি।
সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণে বিজিবি এখন জল, স্থল ও আকাশপথে দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এবং দেশের সীমান্ত এলাকায় নিশ্ছিদ্র নজরদারি ও আন্তরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিলেন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম স্থাপন এবং সম্প্রসারণ করা হয়েছে।’
বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিংসহ ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
বিজিবি দিবস উপলক্ষে কর্মক্ষেত্রে সাহসিকতার জন্য বিজিবিতে কর্মরত ৮ জনকে সম্মাননা স্মারক ব্যাচ পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সবশেষে ডগ মার্চ, ট্রিক ড্রিল, বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রা পরিবেশিত হয়। এ ছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সম্মিলিত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বিজিবিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা।