সাংবাদিক রানা আকন্দের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন নেত্রকোণা শহরে কর্মরত সংবাদকর্মীরা।
পৌরসভার সামনের সড়কে রোববার বেলা ১১টার দিকে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়।
সমাবেশে সাংবাদিকরা রানা আকন্দের ওপর হামলায় জড়িত দুর্বৃত্তদের তিন দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবার হুঁশিয়ারি দেন।
নেত্রকোণা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, উদীচীর জেলা সংসদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান, সাংবাদিক আলপনা বেগম, কামাল হোসাইনসহ আরও অনেকে।
একটি জাতীয় পত্রিকার কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি রানা আকন্দ বিজয় দিবসের দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য নিজ মোটরসাইকেলে চড়ে ওই উপজেলার সিধলী বাজারে যাচ্ছিলেন।
রানার অভিযোগ, সিধলী ব্রিজের উত্তর পাশে যেতেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা কৈলাটি ইউনিয়নের বিদায়ী চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল ভূঁইয়ার ভাই শাকিল ভূঁইয়া, সোহেল ভূঁইয়া, ভাতিজা জুয়েল আকন্দ এবং কামরুল ভূইয়াসহ কয়েকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান।
হামলাকারীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নেত্রকোণা মডেল থানায় মামলা করেন রানা আকন্দের বাবা হাবিবুর রহমান আকন্দ। মামলায় রুবেল ভূঁইয়া, শাকিল ভূঁইয়া, সোহেল ভূঁইয়া, জুয়েল আকন্দ, কামরুল ভূইয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়।
রানার অভিযোগ, হামলাকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে এবং তার পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’