জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির আলোচনা।
বঙ্গভবন সোমবার শুরু হতে যাওয়া এ সংলাপে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি।
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানতম দাবি হবে ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ফ্রেব্রুয়ারিতে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সংলাপের ভিত্তিতেই গঠিত হবে নতুন কমিশন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত সংলাপে যাওয়ার কথা জানিয়ে জাপা মহাসচিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই যাচ্ছি। আগামীকাল বিকেল ৪টায় এ সংলাপ হবে।’
দলের পক্ষ থেকে কী দাবি থাকবে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কী দাবি করব, এগুলো এখনও নির্ধারণ করিনি, তবে আমরা নির্বাচন কমিশন আইন চাই।
‘এ দাবি আমরা অবশ্যই করব। বাকি দাবিগুলো আমরা যাওয়ার আগে আলোচনা করে ঠিক করব।’
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো আইন তৈরি হয়নি দেশে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাদের নাম প্রস্তাব করবেন জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘এগুলো এখনও ঠিক করিনি। আর নাম তো রাষ্ট্রপতি আমাদের কাছে চাননি। নাম চাইবে সার্চ কমিটি। তারপরও আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার আগে আগামীকালকে আবার বসব। তখনই নাম ঠিক করব।
‘এটা এখনই বলা মুশকিল। আমরা নাম নির্ধারণ করেই সংলাপে যাব। দরকার হলে নাম আমরা পরেও পাঠাতে পারি।’
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামীকাল মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হওয়া সংলাপ দলের মোট ৮ জন যাচ্ছেন। তারা হলেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এ সংলাপের মধ্য দিয়ে যে নতুন কমিশন গঠিত হবে, তার অধীনেই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।