নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে আসন্ন নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এরশাদুল হক ও তার সহযোগী বাদল সরকারকে গুলি করে হত্যার ১৬ ঘণ্টা পর মামলা করা হয়েছে।
এরশাদুলের ভাই আখতারুজ্জামান শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর রাতেই দাফন করা হয়। এরপরই এরশাদুলের ভাই মামলাটি করেন। জোড়া খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকায় শত্রুতা করে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। তবে তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করতে আমাকে মানা করা হয়েছে।’
চেয়ারম্যানপুত্র হত্যার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলাএর আগে শুক্রবার রাতে মাহফিল থেকে ফেরার পথে নাটঘর ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এরশাদুল হককে শুক্রবার রাতে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন এরশাদুলের সহযোগী বাদল সরকার।
এরশাদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিতে পরামর্শ দেন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে এরশাদুল হকের মৃত্যু হয়।
পরিবারের দাবি, হামলা হয়েছে আসন্ন ইউপি নির্বাচনের জেরেই। কারণ এরশাদুল চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। পুলিশেরও ধারণা, নির্বাচনি বিরোধের জেরেই হত্যা করা হয়েছে তাকে।
এরশাদুল ছিলেন নাটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।