বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোটের মাঠে চেয়ারম্যান পদে দুই ভাইয়ের লড়াই

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:৫৭

ভোটার কাদের আলী বলেন, ‘এর আগের নির্বাচনেও দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বড় ভাই জয়ী হন। এবার দেখা যাক কে জেতেন। তবে এক পরিবার থেকে দুজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় আমরা দ্বিধায় আছি। দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।’

দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই ভাই মাঠে লড়ছেন।

পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে একই পদে দুই ভাইয়ের লড়াইয়ের ফলাফল দেখতে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নে ভোটারদের উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়েছে।

জানা গেছে, আঙ্গারপাড়া ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার শাহ আনারস প্রতীকে ও তার ছোট ভাই জমির উদ্দিন শাহ বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ২০১১ সালেও তারা ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. গোলাম মোস্তফা আহমেদ শাহ্ নৌকা প্রতীকে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ ঘোড়া প্রতীকে অংশ নিচ্ছেন।

বেশি ভোট পেতে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। শীত উপেক্ষা করে করছেন সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা। ভোটাররা তাদের ভোট দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন।

ভোটার কাদের আলী বলেন, ‘এর আগের নির্বাচনেও তারা দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে বড় ভাই জয়ী হন। ছোট ভাই হেরে যান। এবার দেখা যাক কে জেতেন।

‘তবে এক পরিবার থেকে দুজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় আমরা দ্বিধায় আছি। দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।’

ভোটার সুমন আলী বলেন, ‘দুই ভাইয়ের প্রার্থী হওয়ায় তাদের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা সমস্যায় পড়েছে। এলাকায় তাদের বংশের বেশ সুনাম রয়েছে। কিন্তু দুই ভাইয়ের কারণে সেই সুনাম নষ্টের পথে।’

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বড় ভাই আব্দুল জব্বার শাহ বলেন, ‘বাবার মতো আমিও এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব। তাই ৩ বার সফলভাবে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এ বছরও এলাকার মানুষ আমাকে দাঁড়াতে বলেছেন, তাই ভোটে অংশ নিয়েছি।’

ছোট ভাই শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেন, ‘ আগের নির্বাচনে বড় ভাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মরহুম বাবা ও পরিবারের মান-সম্মান নষ্ট করে দিয়েছেন। তাই আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিকরুল হক জানান, খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৮৩০। এর মধ্যে ১১ হাজার ৩৫ জন পুরুষ ও ১০ হাজার ৭৯৫ জন নারী। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মোট ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর