বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি সদস্য প্রার্থীকে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা লুটের অভিযোগ 

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০১:৪৪

রফিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘আমি তার কথায় রাজি না হলে সে বলে তোর টাকা দরকার নাই। তোরে এহনি মাইরালামু। এই বলেই শামীম আমার গলায় ছুড়ি ধইরা পোঁচ দিছে। তার পেন্টের পকেট থেকে পিস্তল বের করে আমার বুকে ঠেকিয়ে বলে, এর পরও টাকা না উঠালে তোরে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ 

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করতে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের এক সদস্য প্রার্থীর গলায় ছুরি ধরে ও পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থীর ছেলের বিরুদ্ধে।

শনিবার দুপুরে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের হাওলাদার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মো. রফিউদ্দিন হাওলাদার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী।

অভিযুক্তরা হলেন একই ইউনিয়নের সদ্য সাবেক সদস্য ও বর্তমান সদস্য পদপ্রার্থী সেলিম হাওলাদার ও তার ছেলে মো. শামীম।

এ ঘটনায় আহত মো. রফিউদ্দিন হাওলাদার ও তার ভাই শামসুদ্দিন হাওলাদার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রফিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে বিশ্বরোড হাওলাদার বাজারে আমার টিন, সার ও কীটনাশকের ডিলারশিপের দোকানে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার উদ্দেশে টাকা গুনতেছিলাম। এ সময় সেলিম হাওলাদারের ইন্ধনে তার ছেলে শামীম ও হাবিবসহ বেশ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী দোকানে আসে।’

তিনি বলেন, ‘শামীম পেছন থেকে আমাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে টেবিলে থাকা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতে নিয়ে নেয়। সে বলে, তুই কী নির্বাচন করবি? আমার বাপের বিরুদ্ধে তুই দাঁড়াইছোচ কিয়ারে?’

রফিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘আমি ওই অবস্থাতেই বললাম, এই ওয়ার্ড থেকে আরও অনেক লোক দাঁড়াইছে। আমি একা দাঁড়াইছি দেইখা কী হইছে? শামীম কয়, তোর উইথড্রো করতে হইব, এহনও অনেক টাইম আছে।

‘আমি তার কথায় রাজি না হলে সে বলে তোর টাকা দরকার নাই। তোরে এহনি মাইরালামু। এই বলেই শামীম আমার গলায় ছুড়ি ধইরা পোঁচ দিছে। তার পেন্টের পকেট থেকে পিস্তল বের করে আমার বুকে ঠেকিয়ে বলে, এর পরেও টাকা না উঠালে তোরে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

এদিকে হামলার শিকার সদস্য পদপ্রার্থীর ভাই শামসুদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘দুপুরে আমি খবর পাই আমার ভাইরে বাজারে কারা মারতেছে। তখন আমি বাজারে গিয়ে দেখি তাকে অটোতে করে হাসপাতালে নিতেছে। তখন আমি অন্য গাড়িতে হাসপাতালে আসার সময় ইলিশা তেমাথায় আসলে সেলিম হাওলাদারের ছেলে শামীমসহ বেশ কিছু লোক হঠাৎ মারধর করে। পরে ওই এলাকার লোকেরা আমায় হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

অভিযুক্ত সদস্য পদপ্রার্থী সেলিম হাওলাদারের সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত সাহেন বলেন, ‘দুই সদস্য পদপ্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ভোলা সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিভাগের আরো খবর