পারিবারিক বিরোধের জেরে বরিশালের চরমোনাই পীর পরিবারের এক সদস্যকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমের ফুফাতো ভাই কাজী মামুন খান। পীরের ভাতিজা মুজাহিদুল করীম এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ আহত কাজী মামুনের।
তিনি বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযুক্ত মুজাহিদুল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর ও পীরের ভাই মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম ছেলে।
কাজী মামুনের মেয়ে সায়মা আক্তারের অভিযোগ, পারিবারিক বিরোধের জেরে তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর চরমোনাইতে তাদের বাড়ির সামনে (নলছিটি হুজুরের বাড়ি) এ হামলা চালানো হয়। তারা এ ঘটনায় মামলা করবেন।
চরমোনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পীরের ছোট ভাই জিয়াউল করীম বলেন, ‘আমার ফুফাতো ভাই কাজী মামুন খান পেশাদার প্রতারক। বিভিন্ন লোকজন তার কাছে টাকা পান এবং তাকে খোঁজ করছেন। শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর অজ্ঞাতপরিচয়রা মোটরসাইকেলে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাকে জখম করে পালিয়ে যায়।’
জিয়াউল করীমের দাবি, পাওনাদাররাই কাজী মামুনের ওপর হামলা করেছে। ঘটনার সময় ভাতিজা মুজাহিদুল করীম তার সঙ্গে মসজিদে ছিলেন।
চেয়ারম্যান জিয়াউল করীম বলেন, ‘প্রতারণা থেকে বিরত থাকতে কাজী মামুনকে আগেই সাবধান করে দিয়েছিলেন মুজাহিদুল। এ কারণেই হামলার অভিযোগ তার ওপর চাপানো হচ্ছে।’
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুল করিম বলেন, ‘চরমোনাইতে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’