গাজীপুর আওয়ামী লীগ সব সময়ই ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং এখন আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে মহানগর আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রার আগে তিনি এ কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল, এখনও আছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এ ঐক্যকে নষ্ট করতে পারবে না। অতীতের চেয়ে এখন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আরও বেশি শক্তিশালী।
‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেতা-কর্মীকে এ ঐক্য ধরে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে।’
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে সম্প্রতি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।
জাহাঙ্গীরের ওই কথার অডিও ফাঁস হওয়ার পরই মহানগর আওয়ামী কার্যত দুই ভাগ হয়ে পড়েছিল। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ জাহাঙ্গীরের শাস্তির দাবি জানান। জাহাঙ্গীরের পক্ষেও ছিল একটি অংশ।
দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আসার পর অবশ্য জাহাঙ্গীরের পক্ষের লোকজন সরে যায়। এক সময়ের জমজমাট জাহাঙ্গীরের বাড়িও হয়ে পড়ে সুনসান। তবে দলের দুটি পক্ষ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর এখনও নিশ্চিত নয়।
এমন সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানালেন, দলের ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।
প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা শুরু হয়। বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, সহসভাপতি ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস উপস্থিত ছিলেন।
আরও ছিলেন প্যানেল মেয়র আব্দুল আলিম মোল্লা, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার, কাউন্সিলর মো. শাহজাহান মিয়া সাজু, কাউন্সিলর জাবেদ আলী জবে, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব রানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সঞ্জিত মল্লিক বাবু।