বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টানা ছুটিতে লাউয়াছড়ায় রাজস্ব আয় ৩ লাখ টাকা

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:০৫

বনবিভাগ থেকে জানা যায়, ছুটির তিন দিনই উপচেপড়া ভিড় ছিল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। এর মধ্যে লাউয়াছড়ায় প্রায় ৭ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করে।

বিজয় দিবসের সঙ্গে সাপ্তাহিক দুই দিন মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি চলছে দেশে। এমন ছুটিতে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো ভিড় করছেন সবাই। দর্শনীয় সব স্থানই ছিল পর্যটকে টইটুম্বুর।

বাকি নেই দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। এই তিন দিনে জাতীয় উদ্যানটিতে পর্যটকদের টিকিট ফি ও পার্কিং থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩১ টাকা।

বনবিভাগ থেকে জানা যায়, ছুটির তিন দিনই উপচেপড়া ভিড় ছিল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। এর মধ্যে লাউয়াছড়ায় প্রায় ৭ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করে।

এর মধ্যে বিজয় দিবসের দিন ২ হাজার ৮৩৫ জন পর্যটক প্রবেশ করে। আয় হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৫৯ টাকা। পর দিন শুক্রবার ২ হাজার ২৯৩ জন পর্যটকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ১ লাখ ৯ হাজার ১৯০ টাকা।

শেষ দিন শনিবারে উদ্যানে ঢুকেন ১ হাজার ৫৭৮ জন পর্যটক। এতে রাজস্ব আদায় হয় ৭৬ হাজার ৮৮৫ টাকা।

লাউয়াছড়া উদ্যানের ইকো ট্যুর গাইড সাজু মার্চিয়াং জানান, বন্ধের প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক এসেছে। চট্টগ্রাম, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা লাউয়াছড়ায় গেছেন। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে, আবার অনেক এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরাও এসেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পর্যটকদের সঙ্গে সঙ্গে লাউয়াছড়ার ফটকের আশেপাশে বেড়েছে ময়লার স্তূপ। বনবিভাগ ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান করে দিলেও বেশিরভাগ পর্যটককে তা ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন সচেতন পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জেরিন খান বলেন, ‘নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে ছুটি পেলেই চেষ্টা করি প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার। আর সেই কারণে এই ছুটিতে লাউয়াছড়া ঘুরতে এসেছি পরিবার-পরিজন নিয়ে, কিন্তু এখানে এসে মন খারাপ হল।

‘এত্ত পর্যটক এবং তাদের এত্ত হৈচৈ, যত্রতত্র প্লাস্টিকের খালি বোতল, চিপসের প্যাকেট। এভাবে চলতে থাকলে বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতির ক্ষতি হবে।’

রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের ভিড় ছিল প্রচুর। এই বছরে এত পর্যটক একসঙ্গে লাউয়াছড়া আসেননি। পর্যটকরা যেন যত্রতত্র ময়লা ফেলতে না পারেন তার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনাসহ ময়লার ফেলার নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বনবিভাগের লোকজন সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে।’

মৌলভীবাজার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) হাসান মোহাম্মদ নাসের রিকাবদার জানান, তারা সব সময়ই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ থাকেন। তারপর কয়েকগুণ পর্যটক বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আলাদা পরিকল্পনা ছিল। যার ফলে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এ বিভাগের আরো খবর