ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে ফরিদপুর আমলি আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বেলা আড়াইটার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওই সাতজনকে আটকের বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই সাতজনকে শনাক্ত করা হয়। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন সজীব ব্যাপারী, রাফি মোল্যা, পারভেজ, আকাশ শেখ, সোহেল, রাকিব মাতুব্বর ও সাজ্জাদ।
এর আগে গত রোববার রাতে ফরিদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে অনুমতি না থাকায় বিতর্কিত ইসলামি বক্তা আবু ত্বহাকে ওয়াজ করতে না দেয়া নিয়ে হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনা ঘটে।
পরদিন ওই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ ও থানার ভবনের মালিক নান্নু শেখ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেন। মামলায় কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলা করে তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করা এবং থানা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়।
আরেক মামলায় থানা ভবনের মালিকের ব্যক্তিগত একটি মাইক্রোবাস ও ভাড়ায়চালিত একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪৫০ জনকে।
শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, ১২ ডিসেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুরে নির্মাণাধীন আমজাদ সরদারের জুট মিল মাঠ এলাকায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয়রা। ওই মাহফিলে বিতর্কিত বক্তা আবু ত্বহা ওয়াজ করবেন বলে মাইকিং করা হয়।
মাইকিং শুনে কোতোয়ালি থানার অফিসারকে সেখানে পাঠানো হয়। তিনি আবু ত্বহাকে ওয়াজ মাহফিলে না আনার জন্য অনুরোধ করেন মাহফিলের আয়োজকদের। পাশাপাশি আয়োজকদের বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আবু ত্বহা ওয়াজে অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি আরও জানান, ওই সময় আয়োজকরা আবু ত্বহাকে আনবে না বলে আশ্বস্ত করেন। পরে রোববার রাতে কৌশলে আয়োজক কমিটি বিভিন্ন বক্তাকে দিয়ে ওয়াজ মাহফিল শুরু করেন। একপর্যায়ে মঞ্চ থেকে বলা হয়, আবু ত্বহাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আসতে দেন নাই। ওই কথা শোনার পর উপস্থিত জনতা ও স্থানীয় বক্তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের উসকানিমূলক বক্তব্যে মাহফিলে থাকা জনতা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে হাইওয়ে থানায় হামলা চালায়।